
তেলাকুচা একজাতীয় ভেষজ উদ্ভিদ। বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে একে তেলা, তেলাকচু, তেলাহচি, তেলাচোরা কেলাকচু, তেলাকুচা বিম্বী এসব নামে ডাকা হয়। তেলাকুচা ফুল ও গাছটির অংশ ভেষজ ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এটি একটি লতা জাতীয় উদ্ভিদ।গাঢ় সবুজ রঙের পাতা এবং কাণ্ড এই উদ্ভিদটি আমাদের দেশের প্রায় সব স্থানে দেখতে পাওয়া যায়। বন্য লতা। কাণ্ড নরম ও দূর্বল। পঞ্চভূজ আকৃতির পাতা , পাতা ও লতার রং সবুজ।
বসতবাড়ির আশেপাশে, রাস্তার পাশে, গ্রামীণ ঝোপ-ঝাড়ে তেলাকুচা জন্মায় এবং বংশবিস্তার করে। লতাটি মরে গেলেও পুরাতন মূল শুকিয়ে যায় না। বর্ষায় নতুন করে পাতা গজায় এবং কয়েক বছর ধরে পুরানো মূল থেকে গাছ হয়ে থাকে। শীতকালছাড়া সব মৌসুমেই তেলাকুচার ফুল ও ফল হয়ে থাকে। ফল ধরার ৪ মাস পর পাকে এবং পাকলে টকটকে লাল হয়।
ডায়াবেটিক রোগে তেলাকুচার কান্ডসহ পাতার রস বানিয়ে আধাকাপ করে সকাল ও বিকালে খেলে উপকার পাওয়া যায়। জন্ডিস হলে তেলাকুচার মূল ছেঁচে রস বানিয়ে প্রতিদিন সকালে আধাকাপ পরিমাণ খেলে উপকার হয়। পায়ে পানি জমে পা ফুলে গেলে তেলাকুচার মূল ও পাতা ছেঁচে এর রস ৩-৪ চা-চামচ প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া
ছবিঃ জোবায়ের রায়হান