
ফয়সাল ফাইজঃ কেওক্রাডং একসময় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পাহাড়চূড়া হিসেবে স্বীকৃত ছিল। একসময় শুধু পায়ে হেঁটে সেখানে যেতে হত। তবে কয়েক বছর ধরে চান্দের গাড়িতে চেপেও সরাসরি কেওক্রাডং যাওয়া যায়। তবে ট্র্যাকিং করে সেখানে যাওয়ার মজা আলাদা। আসুন দেখে নেই কিভাবে বগালেক থেকে কেওক্রাডং ট্র্যাকিং করবেন।
বান্দরবান থেকে রুমা হয়ে বগালেকে এসে এক রাত থাকতে পারেন আবার চাইলে কেওক্রাডংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা ও দিতে পারেন। বগালেকে যে কোনো দেখে একটা কটেজ নিয়ে রাত্রি যাপন করে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ুন কেওক্রাডংয়ের দিকে।
বগালেকে জন প্রতি ২০০ টাকা করে কটেজ পাওয়া যায়, প্রতি রুমে ১২ জন করে থাকা যায়। পুরো ট্রেইল পায়ে হেঁটে গেলে সময় লাগবে ৩-৪ ঘণ্টা। এক্ষেত্রে আপনাকে গাইড নিতে হবে রুমাবাজার থেকে।
অনুমতি
কেওক্রাডং যেতে হলে আপনাকে অনুমতি নিতে হবে ৫ জায়গা থেকে ১. রুমাবাজার গিয়েই সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ফরম পূরন করে অনুমতি নিতে হবে ২. রুমাজার পুলিশ ফাড়ি থেকে অনুমতি নিতে হবে ৩. বগালেকে যাবার সময় সেনাবাহিনীর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে ৪. কেওক্রাডং যাবার আগে বগালেকের সেনাবাহিনীর কাছ থেকে আবারো অনুমতি নিতে হবে ৫. কেওক্রাডং গিয়ে আবারো ওখানকার সেনাবাহিনীর কাছে থেকে অনুমতি নিতে হবে। চিন্তা নাই, সবগুলো কাজ আপনার গাইড করবে।আপনি শুধু নিজের নাম, ফোন নাম্বার আর সাক্ষর দিবেন। ফেরত আসার সময় আবার একই স্থানে গিয়ে সাক্ষর দিয়ে আসতে হবে।

ব্যাকপ্যাক
অবশ্যই ২টা ব্যাগ নিবেন। আপনার ব্যাকপ্যাকের ভিতর ছোট আরেকটা ব্যাগ রাখবেন। কেন ২টা ব্যাগ নিবেন? বগালেক যাবার পর আপনি ভারী ব্যাগটা গাইডের দায়িত্বে রেখে ছোট ব্যাগে প্রয়োজনীয় ওষুধ, পানি, মোবাইল, ক্যামেরা, চার্জার ইত্যাদি নিতে পারবেন। তখন ব্যাগ হালকা থাকায় আরামে হেটে যেতে পারবেন। আর অবশ্যই সাথে কিছু পলিথিন ব্যাগও রাখবেন। ভেজা কাপড় নিয়ে আসতে সুবিধা হবে। আসার সময় যেহেতু বগালেক হয়েই আসবেন সুতরাং ভারি ব্যাগটা ওখান থেকে নিয়ে আসতে পারবেন। মনে রাখবেন কেওক্রাডং এ পায়ে হেটে যেতে হবে বগালেক হল আপনার বেস ক্যাম্প।
পোষাক কি পরবেন
স্পোর্টস টি শার্ট নিবেন ১টি স্পোটর্স পেন্ট ২। এইগুলি নিচ ছিড়ে যাবার আশংকা থাকে। জুতা হিসাবে ট্র্যাভেলিং স্যান্ডেল বা ক্যাডস নিতে পারেন। হাটার সময় আংলেট, নিক্যাপ পড়ে নিতে পারেন।
কি খাবেন
ডাবের পানি পান করবেন যেখানেই পান। এটা প্রচুর শক্তি যোগাবে শরীরে। হাটা শুরু করার আগে কলা খাবেন। শক্তি পাবেন। কেওক্রাডং যাবার সময় স্যালাইন পানি সাথে রাখবেন জনপ্রতি মিনিমাম ১ লিটার।
কি খাবেন না
সিদ্ধ ডিম না খাওয়াই উত্তম। অনেক সময় ২/৩দিন আগের সিদ্ধ করা ডিম দিতে পারে।ক্যালসিয়াম না খাওয়াই ভাল। অনেকের পেট এটা সহ্য করতে পারেনা। পাহাড় থেকে নামার সময় একজন আরেকজনের চেয়ে যথেস্ট দূরত্ব বজায় রাখবেন। সাথে ১ লিটার বা ৫০০ এম এল পানি রাখবেন।
সঙ্গে যা রাখবেন
পানির বোতল, অডোমোস ক্রিম, ট্র্যাকিং স্টিক, ক্যাম্পিং করতে চাইলে তাবু ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস, বর্ষায় গেলে ছাতা/রেইনকোট সাথে রাখবেন মাষ্ট।
আরও পড়ুনঃ ট্র্যাকিং স্বর্গ রেমাক্রি খাল